মস্তিষ্কের টিউমার দুই ধরণের: সৌম্য এবং ম্যালিগন্যান্ট। সৌম্য টিউমার হল মস্তিষ্কের কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কিন্তু ক্যান্সার নয়। এদিকে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হল ক্যান্সারযুক্ত এবং রক্তনালী এবং লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমের মাধ্যমে সারা শরীরে ক্যান্সার কোষ ছড়িয়ে দিতে পারে, স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট মেডিকেল নিউজ টুডে (ইউকে) অনুসারে।
যদি মাথাব্যথা তীব্র এবং স্থায়ী হয়, তাহলে রোগীর অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত কারণ এটি মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হতে পারে।
মস্তিষ্কে টিউমারগুলি নীরবে বৃদ্ধি পায় এবং স্পষ্ট লক্ষণ দেখাতে বছরের পর বছর সময় লাগতে পারে। সেই সময়ে, রোগী একটি চেকআপের জন্য যান এবং জানতে পারেন যে তার মস্তিষ্কের টিউমার রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, ক্যান্সারটি অগ্রগতি লাভ করেছে, যার ফলে চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
রোগ নির্ণয়ে বিলম্বের একটি কারণ হল, মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণগুলি সহজেই অন্যান্য রোগের সাথে গুলিয়ে ফেলা যায়। এই লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, মাথায় অস্বস্তি বোধ করা, ঘুমাতে অসুবিধা, মনোযোগ দিতে অসুবিধা, লেখা, কথা বলা বা মনে রাখতে সমস্যা। এছাড়াও, কিছু লোকের দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা এবং তাদের চারপাশের বিশ্বের সাথে কম সংযুক্ত থাকার লক্ষণ দেখা যায়।
শুধু তাই নয়, যখন ব্রেন টিউমারটি বড় হতে শুরু করে, তখন এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশকে সংকুচিত করে, যার ফলে রোগের সাধারণ লক্ষণ দেখা দেয় যেমন বমি বমি ভাব, বমি, তীব্র এবং অবিরাম মাথাব্যথা, সাধারণত সকালে। এছাড়াও, রোগীর দৃষ্টি ঝাপসা, প্রায়শই ঘুম ঘুম ভাব, খিঁচুনি, আচরণ এবং ব্যক্তিত্বের পরিবর্তনও দেখা দেয়।
মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে শরীরের একপাশে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা পক্ষাঘাতের মতো স্নায়বিক সমস্যাও হতে পারে। যদি টিউমার ইন্ট্রাক্রানিয়াল চাপ বৃদ্ধি করে, তাহলে এটি মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের চারপাশে সেরিব্রোস্পাইনাল তরলের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, যার ফলে বিপজ্জনক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণগুলি বেশ বৈচিত্র্যময়। বমি বমি ভাব, বমি এবং ঝাপসা দৃষ্টির মতো অনেকগুলি লক্ষণ সহজেই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে গুলিয়ে ফেলা যায়। টিউমারের অবস্থান, আকার এবং স্নায়ুর সংকোচনের মাত্রার উপর নির্ভর করে রোগীর বিভিন্ন সাধারণ লক্ষণ দেখা দেবে।
তবে, যদি রোগীর দীর্ঘ সময় ধরে ক্রমাগত মাথাব্যথা থাকে অথবা বমি বমি ভাব এবং বমি হয়, তাহলে তাদের অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, অসুস্থতার কারণ যাই হোক না কেন, এটি নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা প্রয়োজন।
[বিজ্ঞাপন_২]
উৎস লিঙ্ক
মন্তব্য (0)