হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ কমানোর ৭টি উপায়

[বিজ্ঞাপন_১]

ক্লান্তি দূর করতে ঘুমানো, পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে, ধ্যান হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিষণ্ণতা কমায়।

হাইপোথাইরয়েডিজম হল থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতির একটি অবস্থা। ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, রোগীরা লক্ষণগুলি কমাতে নিম্নলিখিত কিছু পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।

ক্লান্তি-বিরোধী

ক্লান্তি হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি খুবই সাধারণ লক্ষণ। ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুমের মতো ঘুমের সমস্যা থাইরয়েডের কর্মহীনতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ক্লান্তি কমাতে এবং শরীরের শক্তি বাড়াতে রোগীদের একটু ঘুমানো উচিত। দুপুরের খুব কাছাকাছি সময়ে ২০-৩০ মিনিট ঘুমানো রাতে ঘুমের অসুবিধা এড়াতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা প্রতিরোধ

থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত পরিমাণে নিয়ন্ত্রক হরমোন তৈরি করে না, তাই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা স্বাভাবিকের তুলনায় ঠান্ডা এবং সর্দি-কাশির ঝুঁকিতে বেশি থাকেন। আপনার উষ্ণ পোশাক পরা উচিত, শরীর উষ্ণ রাখা উচিত এবং ঠান্ডা জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে বা আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তন হলে পোশাক প্রস্তুত করা উচিত।

শুষ্ক ত্বক প্রতিরোধ করুন

শুষ্ক ত্বকও এই রোগের একটি সাধারণ লক্ষণ। রোগীরা প্রায়শই ত্বককে হাইড্রেটেড রাখার জন্য দিনে কয়েকবার লোশন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। লক্ষণগুলি আরও খারাপ না করার জন্য অ্যালকোহল-মুক্ত এবং রাসায়নিক-মুক্ত ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন

পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবারের ভালো উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে গোটা শস্য, বাদামী চাল, বার্লি, ওটস, গোটা গমের পাস্তা এবং গাজর, টমেটো, সেলারি এবং বেরির মতো ফল ও সবজি। আপনার ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ান আপনাকে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণের পরামর্শ দিতে পারেন। অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন কারণ এটি আপনার শরীরের থাইরয়েডের ওষুধ শোষণের ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে।

ওটস ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ভালো। ছবি: ফ্রিপিক — ওটস ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পরিমিত পরিমাণে খেলে হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ভালো। ছবি: *ফ্রিপিক*

ওজন ব্যবস্থাপনা

হাইপোথাইরয়েডিজম আপনার বিপাককে ধীর করে দেয়, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়। ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চর্বি এবং চিনিযুক্ত খাবার সীমিত করুন।

নির্ধারিত ওষুধ গ্রহণ করুন, থাইরয়েডের কার্যকারিতা এবং ওষুধ শোষণকে প্রভাবিত করে এমন খাবার সীমিত করুন বা এড়িয়ে চলুন, যেমন কেল্প, আয়োডিন এবং সয়া। সঠিক চিকিৎসা ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করতে পারে।

অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট

বিষণ্ণতা কখনও কখনও হাইপোথাইরয়েডিজমের একটি লক্ষণ। ধ্যান মানসিক চাপের মাত্রা কমায়, হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করে।

গ্রীসের পাত্রাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে হাশিমোটোর থাইরয়েডাইটিস (অকার্যকর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে সৃষ্ট একটি অটোইমিউন রোগ) আক্রান্ত ৬০ জন মহিলা আট সপ্তাহ ধরে ধ্যান সহ শিথিলকরণ কৌশল অনুশীলন করেছিলেন, তাদের থাইরয়েড অ্যান্টিবডির মাত্রা, চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা হ্রাস পেয়েছে।

প্রতিদিন একই সময়ে ওষুধ খান

থাইরয়েডের ওষুধের নিয়মিত ব্যবহার শরীরকে থাইরয়েডের কার্যকারিতা আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, চিকিৎসার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।

থাইরয়েডের ওষুধ খালি পেটে খাওয়া উচিত, কারণ ক্যালসিয়াম এবং আয়রনযুক্ত খাবার সহ কিছু খাবার এবং পরিপূরক থাইরয়েড শোষণে হস্তক্ষেপ করতে পারে। খাওয়ার আগে ওষুধ খাওয়ার পরে কমপক্ষে 30 মিনিট থেকে এক ঘন্টা অপেক্ষা করুন। সঠিক মাত্রায় ওষুধ খাওয়ার কথা মনে রাখার জন্য আপনার ফোনে একটি রিমাইন্ডার সেট করুন।

মাই ক্যাট ( এভরিডে হিথ অনুসারে)

পাঠকরা এখানে এন্ডোক্রাইন রোগ সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছেন, ডাক্তারদের উত্তর দেওয়ার জন্য

[বিজ্ঞাপন_২]
উৎস লিঙ্ক