ডিমের পুষ্টির গঠন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (USDA) অনুসারে, একটি মাঝারি আকারের ডিমে প্রায় ৭০ ক্যালোরি, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ১৮৭ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে।
ডিমে ভিটামিন A, D, E, K, B1, B6, B12 এবং অন্যান্য ভিটামিন থাকে, যার মধ্যে ভিটামিন D এবং B12 তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। ভিটামিন D ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে, যা হাড় এবং পেশীর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন B12 শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
ডিমের প্রোটিন ভালো এবং এতে মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারে এবং টিস্যু পুনরুদ্ধার করতে পারে।
ডিম সাদা এবং কুসুমে বিভক্ত, এবং এই দুটি অংশের পুষ্টির পরিমাণ খুবই আলাদা। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি কম এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। ডিমের কুসুমে মূলত চর্বি, খনিজ পদার্থ এবং ভিটামিন থাকে। ডিমের সাদা অংশের তুলনায়, ডিমের কুসুম আরও জটিল সংমিশ্রণ।
সকালে ডিম খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
ডিমের স্বাস্থ্য উপকারিতা
পুষ্টির জগতে ডিমকে সবসময়ই প্রায় নিখুঁত উপাদান হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে আসছে। একটি ছোট ডিম মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে পারে।
জাপানি পুষ্টিবিদ মাকি মাতসুদা বলেন, ডিমের কুসুমে থাকা লেসিথিন কেবল শরীরকে পুনরুজ্জীবিত ও পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে না, বরং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে এবং ভিসারাল ফ্যাট জমা হতে বাধা দিতে পারে। ডিমের সাদা অংশে অ্যালবুমিন থাকে, যা একটি ভালো প্রোটিন যা শরীরকে বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং পেশী কোষ গঠনে সহায়তা করে।
এছাড়াও, ডিমের কুসুমে কোলিন নামক একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য পুষ্টি উপাদান থাকে, যা শরীরের লিপিড বিপাক করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোলিন মস্তিষ্কের একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং ডিমেনশিয়া প্রতিরোধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান।
ডিমেনশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি, বিশেষজ্ঞ মাকি মাতসুদা আরও বলেন যে ডিম আপনাকে ভালো ঘুমাতে এবং আপনার বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে কারণ ডিম ট্রিপটোফ্যান সমৃদ্ধ, যা মানসিক চাপ কমায়। এটি মহিলাদের স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো?
বিশেষজ্ঞ মাকি মাতসুদা সকলকে সকালের নাস্তায় ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন। সকালে ডিম খাওয়া কেবল আপনার শরীরের জন্য শক্তির একটি সমৃদ্ধ উৎসই পেতে সাহায্য করে না, বরং আপনার মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন ১-২টি ডিম খাওয়া তুলনামূলকভাবে উপযুক্ত। ডিম খাওয়ার আগে, আপনার চা পান করা উচিত নয় বা সয়াবিনের সাথে খাওয়া উচিত নয়, কারণ এটি খাদ্য হজম এবং পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়াও, ব্যাকটেরিয়া দূষণ বা খাদ্য বিষক্রিয়া এড়াতে আপনার কাঁচা ডিম বা নরম-সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত নয়।
[বিজ্ঞাপন_২]
সূত্র: https://vtcnews.vn/an-trung-vao-bua-sang-co-tot-cho-suc-khoe-ar909053.html
মন্তব্য (0)