সাংবাদিক হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং - ডিজিটাল যুগের একজন আদর্শবাদী

ডিজিটাল যুগে - যেখানে আসল এবং ভুয়া তথ্য একে অপরের সাথে মিশে আছে, যেখানে রাজনৈতিক লেখকরা অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে নীরবে "আদর্শিক যুদ্ধক্ষেত্র" বজায় রাখেন, সেখানে সীমান্তে একজন মহিলা সাংবাদিক আছেন যিনি এখনও প্রতিটি শব্দের লাইন এবং প্রতিটি ফ্রেমের মাধ্যমে বিপ্লবী আদর্শকে অক্লান্তভাবে আলোকিত করে চলেছেন। তিনি হলেন হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং - যিনি টানা ৩ বছর ধরে পার্টির আদর্শিক ভিত্তি রক্ষার রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা জিতেছেন, যিনি সমগ্র জনগণের আদর্শিক ফ্রন্টে স্থানীয় সাংবাদিকতার অবস্থান নিশ্চিত করতে অবদান রেখেছেন।

ল্যাং সনের সীমান্তবর্তী এলাকায়, মহিলা সম্পাদক নীরবে সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক "সীমান্ত" রক্ষা করেন পার্টির প্রতি অনুগত হৃদয় এবং আধুনিক চিন্তাভাবনা দিয়ে। তিনি কেবল রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একজন তীক্ষ্ণ লেখকই নন, তিনি স্থানীয় সাংবাদিকতাকে "নিচুভূমি" থেকে বের করে আনার ক্ষেত্রেও অবদান রাখেন, নতুন এবং কার্যকর যোগাযোগের মাধ্যমে তরুণদের কাছে পৌঁছান।

ল্যাং সন প্রাদেশিক সংবাদপত্র এবং রেডিও ও টেলিভিশন স্টেশন (পিটি-টিএইচ) এর ইলেকট্রনিক সংবাদপত্র - ডিজিটাল কন্টেন্ট বিভাগের সম্পাদক সাংবাদিক হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং, স্থানীয় সাংবাদিকদের আদর্শবাদী, জনগণের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ এবং ডিজিটাল যুগের প্রবাহে দলের প্রতি অনুগত মনোভাবের প্রমাণ।

সাংবাদিক হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং (প্রথম ব্যক্তি, বাম) কাজ করছেন। ছবি: চরিত্রটি দ্বারা সরবরাহিত

ডিজিটাল সীমান্তে যিনি আদর্শিক অবস্থান ধরে রেখেছেন

ল্যাং সন প্রদেশের দং কিন ওয়ার্ডের একটি বিপ্লবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, তার দাদুর স্মৃতি নিয়ে বেড়ে ওঠেন - একজন অভিজ্ঞ সৈনিক যিনি দিয়েন বিয়েন ফু অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন, ডিয়েপ হ্যাং শীঘ্রই তার কলম দিয়ে সময়ের গল্প বলার আকাঙ্ক্ষা লালন করেন। সাহিত্য অনুষদ (সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক বিশ্ববিদ্যালয়, ভিয়েতনাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, হ্যানয়) থেকে সম্মান নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে, তিনি ল্যাং সন প্রদেশের সংবাদপত্র এবং রেডিও এবং টেলিভিশন স্টেশনে কাজে ফিরে আসেন।

তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে, পার্বত্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কাজ করার যাত্রা কষ্টসাধ্য ছিল না: সরঞ্জামের অভাব, কঠিন রাস্তা এবং অভিজ্ঞতার অভাব। তিনি একটি টেপ রেকর্ডার সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ভ্রমণ করতেন এবং মানুষের মতামত শুনতে এবং রেকর্ড করতেন।

তার সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতিগুলির মধ্যে একটি ছিল হোয়াং ভ্যান থু কমিউন (ল্যাং সন প্রদেশ) এর কোক ম্যান গ্রামে একটি ব্যবসায়িক ভ্রমণ - যেখানে পুরো গ্রামে আধ্যাত্মিক খাদ্য হিসেবে কেবল একটি ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল, এবং গ্রাম প্রধান হুয়া ভ্যান লং, যদিও নিরক্ষর ছিলেন, তবুও তিনি গ্রামবাসীদের নতুন গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে অবদান রাখার জন্য ক্রমাগতভাবে সংগঠিত করেছিলেন। তার সাথে দেখা করার সময়, গ্রাম প্রধান আবেগপ্রবণভাবে বলেছিলেন: "প্রতিদিন যখন আমরা স্টার অ্যানিস গাছে উঠি, আমরা কিছু চালের বল নিয়ে আসি এবং আমাদের পিঠে একটি ছোট ক্যাসেট প্লেয়ার বেঁধে রাখি। গ্রামবাসীরা আপনার অনেক রেডিও সম্প্রচার শুনেছে। এখন আমরা আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে পারি, কত মূল্যবান!"

এই সহজ কথাটিই তাকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করেছিল: সাংবাদিকতা কেবল ঘটনা রেকর্ড করার বিষয় নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনের কণ্ঠস্বর এমন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যেখানে শোনা প্রয়োজন। এই চিন্তাভাবনা তাকে তার পেশার প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে, মানুষের সেবা করে এমন কাজে নিজেকে নিবেদিত করে।

প্রায় ১৫ বছরের সাংবাদিকতায়, তিনি শত শত সাংবাদিকতামূলক কাজ রচনা করেছেন এবং অনেক পুরষ্কার জিতেছেন যেমন: জাতীয় লেখা প্রতিযোগিতা "ভিয়েতনামী যুব অধ্যয়ন এবং হো চি মিনের চিন্তাভাবনা, নৈতিকতা এবং শৈলী অনুসরণ করুন" (২০১৭) -এ তৃতীয় পুরস্কার; জাতীয় সাহিত্য ও শিল্পকলা পুরস্কারে তৃতীয় পুরস্কার (২০২২); এবং অনেক ল্যাং সন প্রাদেশিক সাংবাদিকতা পুরষ্কার।

সাংবাদিক হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং (বাম থেকে ৭ম) ২০২৩ সালে পার্টির আদর্শিক ভিত্তি রক্ষার উপর রাজনৈতিক রচনা প্রতিযোগিতায় বি পুরস্কার পেয়েছেন। ছবি: চরিত্রটি দ্বারা সরবরাহিত

গ্রামের গল্প থেকে জাতীয় রাজনীতি

পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জীবিকা এবং জীবনযাত্রা নিয়ে কাজ করেই থেমে না থেকে, ডিয়েপ হ্যাং রাজনৈতিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রবেশের সময় ধীরে ধীরে তার পেশাগত দক্ষতা নিশ্চিত করেন।

ল্যাং সন প্রদেশ কর্তৃক আয়োজিত ভিয়েতনাম বিপ্লবী প্রেস দিবসের ১০০ তম বার্ষিকী উদযাপন সম্মেলনে, সাংবাদিকতায় তার অসামান্য কৃতিত্বের জন্য প্রাদেশিক পিপলস কমিটি থেকে তিনি যোগ্যতার শংসাপত্র পেয়েছিলেন। সম্মেলনের ফাঁকে তার সাথে দেখা করার এবং কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম: "কোন ভাগ্য আপনাকে রাজনীতিতে এনেছে?"

তিনি হেসে বললেন: "আমি সাহিত্য ভালোবাসি, হালকা জিনিস লিখতে ভালোবাসি। কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে, যখন আমি প্রাদেশিক যুব তত্ত্ব ক্লাবের সহ-সভাপতি হই, তখন আমি যোগাযোগ শুরু করি এবং বুঝতে পারি যে সামাজিক নেটওয়ার্কগুলি বিকৃত তথ্যে ভরে গেছে, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি এর বাইরে থাকতে পারব না।"

তার প্রথম রচনা, "সাইবারস্পেস - একটি ফ্রন্ট যা উপেক্ষা করা যাবে না", সেই উদ্বেগ থেকেই লেখা হয়েছিল এবং ২০২২ সালে পার্টির আদর্শিক ভিত্তি রক্ষার উপর দ্বিতীয় রাজনৈতিক রচনা প্রতিযোগিতায় জমা দেওয়া হয়েছিল। নিবন্ধটি দেশব্যাপী ১১৬,০০০ এরও বেশি রচনাকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সি পুরষ্কার জিতেছে। "আমি ভাবিনি যে আমি পুরস্কার জিতব, আমি কেবল আশা করেছিলাম যে কেউ এটি পড়বে এবং এটি আত্মস্থ করবে। কিন্তু কীভাবে শুষ্ক রাজনৈতিক রচনাগুলি তরুণদের কাছে পৌঁছাতে পারে? আমি জানি আমাকে আরও এগিয়ে যেতে হবে," তিনি ভাগ করে নিয়েছিলেন।

২০২৩ সালে, তিনি "অন্তর্নিহিত শক্তি থেকে সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক সীমানা রক্ষা করা" এই ৩টি প্রবন্ধের একটি সিরিজ নিয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এই কাজটি জাতীয় সংস্কৃতি হারানোর ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে, বিদেশী সংস্কৃতির সূক্ষ্ম অনুপ্রবেশের দিকে ইঙ্গিত করে, একটি পরিচিত লেখার ধরণ এবং সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য প্রমাণ সহ। এই কাজটি আধুনিক রাজনৈতিক আলোচনায় তার পরিপক্কতা নিশ্চিত করে, বি পুরস্কার জিতেছে।

২০২৪ সালে, তিনি "আলো এবং বিশ্বাস" নামে ৩টি প্রবন্ধের একটি সিরিজ লিখে মুগ্ধ করে চলেছিলেন, যা একটি সাহসী কাজ যা একটি সংবেদনশীল বিষয়: আধুনিক সমাজে ধর্মকে অন্বেষণ করেছিল। মন্দ ধর্মের শিকার অনেক ব্যক্তির কাছে যাওয়ার সময়, তিনি এমন ঘটনা দেখে বিরক্ত হয়েছিলেন যেখানে বুদ্ধিজীবী এবং দলের সদস্যরাও এখনও অন্ধভাবে তাদের বিশ্বাস করেন। "এটি করা যত কঠিন ছিল, ততই আমাকে খুঁজে বের করতে হয়েছিল কেন তারা বিশ্বাস করে। এই ধরণের কৌশলের মুখে আমি চুপ করে থাকতে পারিনি," তিনি বলেন। কাজটি দেশব্যাপী ৪,৬৮,০০০ এরও বেশি এন্ট্রিকে ছাড়িয়ে গেছে এবং সি পুরষ্কার জিতেছে।

টানা তিন বছর ধরে জাতীয় রাজনৈতিক পুরষ্কার জিতে, ডিয়েপ হ্যাং কেবল তার ব্যক্তিগত ছাপই রেখে যাননি বরং পার্টির আদর্শিক ভিত্তি রক্ষার ক্ষেত্রে স্থানীয় সাংবাদিকতার অবস্থানকেও প্রথম সারিতে নিশ্চিত করেছেন। ল্যাং সন প্রাদেশিক সংবাদপত্র এবং রেডিও ও টেলিভিশন স্টেশনের প্রধান সম্পাদক কমরেড নগুয়েন ডং বাক মন্তব্য করেছেন: "কমরেড ডিয়েপ হ্যাং একজন তরুণ সাংবাদিক যার তীক্ষ্ণ চিন্তাভাবনা, দৃঢ় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তা করার সাহস, লেখার সাহস এবং বিশেষ করে সর্বদা সকল বিষয়ে দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রয়েছে।"

ডিজিটাল কন্টেন্ট উৎপাদন এবং উন্নয়ন দল - একটি নতুন মডেল

তিনি কেবল কথায় তীক্ষ্ণ নন, ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রোডাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টিমের প্রধান হিসেবে সক্রিয় রাজনৈতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও একজন পথিকৃৎ। তিনি এবং তার দলের সদস্যরা সোশ্যাল মিডিয়া ভাষা ব্যবহার করে সঠিক ধারণা প্রকাশের জন্য একটি ভিডিও ব্যাংক তৈরি করেছেন, যা বীজ থেকে ভুয়া খবরকে চূর্ণ করে দিয়েছে, যা প্রাদেশিক গণ কমিটি স্থানীয় সাংবাদিকতার ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে একটি অগ্রণী এবং কার্যকর মডেল হিসেবে মূল্যায়ন করেছে।

ঐতিহ্যবাহী উৎসব সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য শনাক্ত ও খণ্ডন করে তৈরি একটি সাম্প্রতিক ভিডিও পোস্ট করার মাত্র ৩ দিনের মধ্যেই প্রায় ৫,০০,০০০ বার দেখা হয়েছে এবং ৭,০০০ এরও বেশি মন্তব্য এসেছে। ল্যাং সন পেডাগোজিকাল কলেজের শিক্ষার্থী ভি থি থু হ্যাং শেয়ার করেছেন: "প্রথমবারের মতো, আমি বুঝতে পারছি কেন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার সময় আমাদের সতর্ক থাকা উচিত!"। এটি কেবল যোগাযোগের কার্যকারিতা নয়, বরং আদর্শের কার্যকারিতাও যখন বার্তাটি সঠিক সময়ে, সঠিক উপায়ে, সঠিক ব্যক্তির কাছে পৌঁছায়।

২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত, দলটি ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব... প্ল্যাটফর্মে ২৩,১০০ টিরও বেশি ভিডিও তৈরি করেছে, যার মধ্যে ২৭.৯ মিলিয়ন ভিউ এবং ৯.৩ মিলিয়নেরও বেশি ইন্টারঅ্যাকশন দেখা গেছে, যার বেশিরভাগই পার্বত্য অঞ্চলের তরুণদের কাছ থেকে। অনেক ক্লিপ তরুণদের জাল তথ্য সনাক্ত করতে, "ভালো থেকে খারাপকে আলাদা করতে" সাহায্য করে। ল্যাং সন প্রাদেশিক পার্টি কমিটির প্রচার ও গণসংহতি বিভাগের উপ-প্রধান কমরেড নগুয়েন ভ্যান চুং মূল্যায়ন করেছেন: "অন্যান্য অনেক এলাকার তুলনায় যারা এখনও বিভ্রান্ত, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি এবং বিকাশকারী দলটি একটি যুগান্তকারী মডেল, কার্যকরভাবে রাজনৈতিক ভাষ্য এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিকে একত্রিত করে, ডিজিটাল স্পেসে একটি আদর্শিক "সবুজ অঞ্চল" তৈরিতে অবদান রাখে।"

সাংবাদিক হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং একটি রিপোর্টিং সেশনে। ছবি: চরিত্রটি দ্বারা সরবরাহিত

সাইবারস্পেসে নীরব যোদ্ধা

কেবল ডিজিটাল মিডিয়াতেই কাজ করা নয়, ডিয়েপ হ্যাং তরুণদের তত্ত্বের প্রশিক্ষণেও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রাদেশিক যুব তত্ত্ব ক্লাবের সহ-সভাপতি হিসেবে, তিনি সরাসরি স্কুল এবং যুব সংগঠনগুলিতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন, আদর্শিক সংগ্রামে সাংবাদিকতার ভূমিকা সম্পর্কে কথা বলেন, তরুণদের মিথ্যা তথ্য সনাক্ত করতে এবং তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেন।

"আজকের তরুণরা খুবই সংবেদনশীল। যতক্ষণ তাদের সঠিক সঙ্গী থাকবে, ততক্ষণ তারা আদর্শিক ফ্রন্টের মূল শক্তি হয়ে উঠবে," তিনি নিশ্চিত করেন। গোঁড়ামি বা স্টেরিওটাইপ ছাড়াই, তিনি একটি ঘনিষ্ঠ পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন, তরুণদের ভাষায় কথা বলতেন, ভুল তথ্য ব্যাখ্যা করতেন দৈনন্দিন উদাহরণ দিয়ে যা বোঝা এবং মনে রাখা সহজ। ডিয়েপ হ্যাংয়ের পদ্ধতি এক ধাপ এগিয়ে, অবিচলভাবে সঠিক আদর্শ বপন করে যাতে সেখান থেকে তরুণদের হৃদয়ে ইতিবাচক সচেতনতার বীজ অঙ্কুরিত হতে পারে।

শব্দপ্রেমী মেয়ে থেকে শুরু করে একজন তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক সাংবাদিক, হোয়াং ডিয়েপ হ্যাং শান্ত কিন্তু আদর্শিক দিক থেকে দৃঢ়। ল্যাং সনের পীচ ফুলের মতো - ঠান্ডা সীমান্ত অঞ্চলে সরল এবং স্থায়ী, তিনি বিপ্লবী সাংবাদিকতার চেতনাকে ডিজিটাল চিন্তাভাবনার সাথে একত্রিত করেন, বহুমাত্রিক তথ্যের দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। তথ্য বিস্ফোরণের যুগে, যখন আদর্শকে বানোয়াট শব্দের "ভাইরাস" দ্বারা আক্রমণ করা হয়, তখন তিনি আধুনিক চিন্তাভাবনা, একটি আবেগপ্রবণ হৃদয় এবং একটি তীক্ষ্ণ কলম দিয়ে পার্টির আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অক্লান্তভাবে নিজেকে নিবেদিত করতে বেছে নেন।

তিনি প্রমাণ করেছেন যে: প্রাদেশিক স্তর থেকে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এখনও সাহসী আদর্শিক যোদ্ধা তৈরি করতে পারে, যারা দলের রাজনৈতিক ও আধ্যাত্মিক দুর্গ বজায় রাখতে অবদান রাখবে। তার কাছে, সাংবাদিকতা কেবল বর্তমান ঘটনা রেকর্ড করার জন্য নয়, বরং বিশ্বাস জাগানো, পরিচয় সংরক্ষণ করা এবং আদর্শ লালন করার লক্ষ্য সম্পর্কেও। এটিই একজন নতুন যুগের সাংবাদিকের ভাবমূর্তি: সাহসী - নিবেদিতপ্রাণ - সংবেদনশীল, সর্বদা আদর্শের সামনের সারিতে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল হোয়াং আন তুয়ান, রাজনীতি একাডেমি, জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়

সূত্র: https://www.qdnd.vn/phong-su-dieu-tra/cuoc-thi-nhung-tam-guong-binh-di-ma-cao-quy-lan-thu-16/nha-bao-hoang-diep-hang-nguoi-truyen-lua-ly-tuong-trong-ky-nguyen-so-838993