হাঁটা রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে, হৃদরোগের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে এবং রক্তচাপ কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। প্রতিটি পদক্ষেপ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে, অস্টিওপোরোসিস এবং জয়েন্টের সমস্যার ঝুঁকি থেকে আপনাকে রক্ষা করে, শরীরকে আরও নমনীয় এবং নমনীয়ভাবে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
হিন্দুস্তান টাইমস অনুসারে, হাঁটা এন্ডোরফিন (খুশির হরমোন) নিঃসরণ করে, যা মানসিক চাপ উপশম করতে সাহায্য করে এবং শিথিলতা ও শান্তির অনুভূতি বয়ে আনে।
হাঁটার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে
ভাটিয়া হাসপাতাল মুম্বাই (ভারত) এর আবাসিক চিকিৎসক সম্রাট ডি শাহ বলেন, প্রতিদিন ৪,০০০ কদম হাঁটা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী হতে পারে।
"হাঁটা সহ ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে। এই হরমোনগুলি চাপ, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে এবং ইতিবাচক মেজাজ তৈরি করে। হাঁটা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন সহ রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে। এটি জ্ঞানীয় কার্যকারিতা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে," বলেন শাহ।
ভারতে কর্মরত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ জ্যোতি কাপুর প্রতিদিন ৪,০০০ কদম হাঁটার আরও উপকারিতা শেয়ার করেছেন।
মানসিক চাপ উপশম
মানসিক চাপ এড়ানো অসম্ভব। তবে, প্রতিদিন হাঁটার মাধ্যমে আপনি মানসিক চাপ সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কমাতে পারেন।
যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, হাঁটার সময়, শরীর স্বয়ংক্রিয়ভাবে এন্ডোরফিন তৈরি করে, যা মেজাজ উন্নত করতে, উদ্বেগ এবং চাপ কমাতে সাহায্য করে।
মেজাজ উন্নত করুন
গবেষণায় দেখা গেছে যে হাঁটা সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়ায়, একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
প্রতিদিন ৪,০০০ কদম হাঁটার অভ্যাস আমাদের মেজাজ উন্নত করতে, উদ্বেগ কমাতে এবং আরও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
জ্ঞানীয় কার্যকারিতা উন্নত করুন
যখন আপনি হাঁটেন, তখন মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে হয়, যা স্মৃতিশক্তি গঠন এবং একীভূতকরণে সহায়তা করে।
হাঁটা কেবল নতুন নিউরনের উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে না, বরং মস্তিষ্কের সংযোগও উন্নত করে। ফলস্বরূপ, আমরা নমনীয়ভাবে চিন্তা করতে পারি, নতুন ধারণা নিয়ে আসতে পারি এবং সমস্যাগুলি আরও ভালভাবে সমাধান করতে পারি।
ঘুমের মান উন্নত করুন
নিয়মিত হাঁটার রুটিন বজায় রাখলে আপনার ঘুমের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। হাঁটার সাথে যে শারীরিক কার্যকলাপ এবং মানসিক শিথিলতা আসে তা আপনার ঘুমের চক্রকে উন্নত এবং নিয়ন্ত্রণ করবে।
[বিজ্ঞাপন_২]
উৎস লিঙ্ক
মন্তব্য (0)