ঠান্ডা আবহাওয়া, বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময়, প্রায়শই গলা ব্যথা সহ শ্বাসযন্ত্রের রোগ বৃদ্ধি করে।
লবণ পানি দিয়ে গার্গল করুন
গলা ব্যথা এবং কাশি উপশমের জন্য লবণ পানি দিয়ে কুলি করা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর উপায়। লবণ প্রদাহ কমায় এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। লবণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা গলার আস্তরণের জ্বালাপোড়া প্রশমিত করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, লবণ একটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবেও কাজ করে, যা গলা ব্যথা এবং কাশির প্রধান কারণ ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
লবণ পানি দিয়ে কুলি করে গলা ব্যথা কমাতে পারেন। ছবি: গেটি ইমেজেস
কিভাবে করবেন:
এক কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ গুলে নিন।
এক চুমুক লবণ জল পান করুন, নিশ্চিত করুন যে এটি পুরো গলার অংশের সংস্পর্শে আসে।
প্রায় 30 সেকেন্ড ধরে আলতো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
লবণ জল থুতু ফেলুন এবং প্রয়োজনে পুনরাবৃত্তি করুন।
ভালো ফলাফলের জন্য আপনি দিনে কয়েকবার লবণ পানি দিয়ে গার্গল করতে পারেন। জ্বালাপোড়া, অস্বস্তিকর অনুভূতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে, যা আপনাকে আরও আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্য দেবে।
মধু লেবুর পানি পান করুন
মধু, তার প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে, কেবল গলা ব্যথার কারণ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেই সাহায্য করে না বরং একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, যা গলার শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে প্রশমিত করে। এদিকে, লেবু ভিটামিন সি-এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে, রোগজীবাণুগুলির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন করে। এই দুটি উপাদানের নিখুঁত সংমিশ্রণ অসাধারণ ফলাফল নিয়ে আসে, যা আপনাকে দ্রুত অস্বস্তিকর লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
মধু এবং লেবু থেকে সর্বাধিক সুবিধা পেতে:
মধু এবং উষ্ণ লেবুর জল: এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক চা চামচ কাঁচা মধু এবং অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে ছোট ছোট চুমুকে পান করুন, মিশ্রণটি কিছুক্ষণ গলায় রেখে দিন এবং তারপর গিলে ফেলুন। দিনে ২-৩ বার এটি করুন।
মধু লেবু: লেবুর একটি পাতলা টুকরো কেটে তার উপর সামান্য মধু ছড়িয়ে দিন এবং লেবুর টক স্বাদ না হারানো পর্যন্ত মুখে ধরে রাখুন।
মধুর সাথে গরম পানি পান করুন: যদি আপনার কাছে লেবু না থাকে, তাহলে আপনি গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এই পদ্ধতিটি সহজ কিন্তু গলা প্রশমিত করার জন্য খুবই কার্যকর।
যাদের গলা ব্যথা এবং সর্দি-কাশিতে ভুগছেন তাদের জন্য আদা চা ভালো। (ছবি: ইস্টক)
আদা চা
আদা, প্রতিটি পরিবারের রান্নাঘরে একটি পরিচিত মশলা, কেবল খাবারের জন্য সুস্বাদু স্বাদ তৈরি করে না বরং এটি একটি মূল্যবান ঔষধও যা হাজার হাজার বছর ধরে ঐতিহ্যবাহী ঔষধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এর শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে, আদাকে একটি প্রাকৃতিক "অলৌকিক ওষুধ" হিসেবে বিবেচনা করা হয় যা গলা ব্যথা, কাশি এবং সর্দি-কাশির মতো অপ্রীতিকর লক্ষণগুলি উপশম করতে সাহায্য করে। আপনি তাজা আদা টুকরো করে ফুটন্ত জলে প্রায় 10-15 মিনিট রেখে পান করতে পারেন। কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য আপনি মধু বা লেবু যোগ করতে পারেন।
হলুদের দুধ পান করুন
হলুদের শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং জীবাণুনাশক বৈশিষ্ট্যের কারণে, হলুদ দীর্ঘদিন ধরে ঐতিহ্যবাহী ঔষধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, গলা ব্যথা সহ অনেক রোগের চিকিৎসায় সহায়তা এবং প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও, উষ্ণ দুধ পান করা গলা উষ্ণ করতে, ব্যথা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে। হলুদের দুধে প্রায়শই আদা এবং দারুচিনির মতো মশলা থাকে, যা শরীরকে উষ্ণ করে, কফ দূর করে, কাশি কমায় এবং গলা ব্যথার চিকিৎসায় সহায়তা করে।
তবে, গলা ব্যথার চিকিৎসার পদ্ধতিগুলির কার্যকারিতা প্রতিটি ব্যক্তির শারীরিক গঠনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে এবং শুধুমাত্র একটি সহায়ক প্রভাব ফেলতে পারে, চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করতে পারে না। যদি গলা ব্যথা অব্যাহত থাকে বা গুরুতর লক্ষণ থাকে, তাহলে সময়মত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য আপনার একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত।
[বিজ্ঞাপন_২]
সূত্র: https://vtcnews.vn/4-ways-to-treat-coughs-effectively-when-the-cold-weather-is-cold-ar909532.html
মন্তব্য (0)